কাতার কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৪

বর্তমান সময়ে কাতারে হাজার হাজার কোম্পানি রয়েছে। যে সকল কোম্পানিরতে বিভিন্ন ধরনের কাজের লোক নিয়োগ করা হয়। এবং কাতারে অবস্থিত কোম্পানিগুলো সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। কোম্পানি ভিসার মধ্যে আপনি ড্রাইভিং ভিসা, কনস্ট্রাকশন বা শ্রমিক ভিসা, ফ্যাক্টরি কোম্পানির ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন।

তবে কাতারে পৌঁছাতে সকল কাজের ভিসার দাম নূন্যতম ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। এছাড়াও ভালো কোম্পানির কাজের ভিসা পেতে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। তবে আজকের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে কাতার কোম্পানি ভিসা বেতন কত। যেহেতু প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশী নাগরিক কাতারে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে পৌঁছে যাচ্ছেন।

সেহেতু প্রত্যেক কোম্পানির কাজের বেতন কত টাকা করে নির্ধারিত করা হয়। তা ঐ দেশে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই প্রত্যেক ব্যক্তির জেনে রাখা উচিত। তবে কাতার কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা তা অবশ্যই তাদের সাথে বিস্তারিত আলাপ করে জেনে নিবেন। অথবা যে দালালের মাধ্যমে কাতারের কোম্পানির ভিসা তৈরি করছেন। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত বেতন সম্পর্কে তথ্য জেনে নিবেন।

কাতার কোম্পানি ভিসা বেতন কত

কাতারে বিভিন্ন কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এবং একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে কাতার কোম্পানির ভিসার বেতন নির্ধারণ করা হয়। তবে ন্যূনতম একজন বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য কাতার কোম্পানির ভিসা বেতন নির্ধারণ করা হয় ৪৫০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা।

তবে কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এই বেতন লক্ষ টাকারও অধিক হতে পারে। যেহেতু কাতারের বিভিন্ন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাংলাদেশ থেকে পাওয়া যায়। সেহেতু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বেশিরভাগই বিভিন্ন কোম্পানির আওতায় হয়ে থাকে। যেমন বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভিং ভিসা।

আবার ফ্যাক্টরি ভিসা, কন্সট্রাকশন ও ক্লিনার ভিসা গুলো বিভিন্ন কোম্পানির আওতায় হয়ে থাকে। তবে এ সকল কোম্পানিগুলো প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা বেতন নির্ধারণ করে দিয়ে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ কাতারে অবস্থিত যে কোন কোম্পানির আওতায় একজন ড্রাইভার এর বেতন ন্যূনতম ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার অধিক।

কাতার ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত ২০২৪

এই কাতার পারস্য উপসাগরের একটি দেশ। আর কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব, এবং এর পশ্চিমে দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইন অবস্থিত। কাতার অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক সমৃদ্ধ এবং উন্নত একটি দেশ। কাতারে অর্থনীতি খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

কাতারের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে এর তেল আবিষ্কার। আর দেশটিতে বিশ্বের ৩য় তম বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাসের রিজার্ভ এবং ১৩ তম বৃহত্তম তেলের রিজার্ভ রয়েছে। এবং এই তেল খাতে কাতারের প্রচুর কর্মীর প্রয়োজন হয়।

এছাড়াও এই কাতার ক্রমশ ধীরে উন্নত হচ্ছে এবং দেশ এবং দেশের বাইরের মানুষের জন্য কাজের সুযোগ ও সৃষ্টি করছে। একজন বাংলাদেশী নাগরিক চাইলে কাতারে ড্রাইভিং ভিসায় পৌঁছাতে পারেন। তবে ড্রাইভিং ভিসায় একজন ব্যক্তির ন্যূনতম বেতন ৯০ হাজার থেকে ০১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

কাতার কনস্ট্রাকশন শ্রমিকের বেতন কত ২০২৪

কাতারের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি করতে বিদেশী শ্রমের উপর প্রচুর নির্ভর করতে হয়। তাই বছরের শুরুতে বাংলাদেশ, ভারত সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে কনস্ট্রাকশন কাজ সহ বিভিন্ন কোম্পানির কাজের শ্রমিকের নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

তাই বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য কাতারে কনস্ট্রাকশন শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। তবে পূর্বের তুলনায় কাতারে কনস্ট্রাকশন শ্রমিকের বেতন কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে পূর্বে অদক্ষ কথার কন্সট্রাকশন শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা হতো ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।

তবে বর্তমানে কনস্ট্রাকশন শ্রমিকদের বেতন ন্যূনতম বাংলাদেশি টাকায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার নির্ধারণ করা হয়। এবং একজন দক্ষ ব্যক্তির কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা বা তারও অধিক নির্ধারণ করা হয়।

কাতার ফ্যাক্টরি কোম্পানির বেতন কত ২০২৪

কাতারের ফ্যাক্টরি কোম্পানির ভিসায় একজন ব্যক্তির বেতন নির্ধারণ করা হয় ন্যূনতম ১৫০০ রিয়াল থেকে ২৫০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশী টাকায় ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার। এবং সর্বোচ্চ ফ্যাক্টরি কোম্পানির বেতন নির্ধারণ করা হয় ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া ফ্যাক্টরি কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপরেও বেতন নির্ভর করে থাকে।

কাতার ক্লিনার ভিসা বেতন কত ২০২৪

বর্তমানে কাতারে ক্লিনার ভিসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে কাতারে ক্লিনার ভিসায় ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা হয় ১০০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা। এছাড়া অভিজ্ঞ ও কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ কাতার ক্লিনার ভিসায় বেতন প্রদান করা হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।

কাতার সিকিউরিটি গার্ড বেতন কত ২০২৪

কাতারে সিকিউরিটি গার্ডের চাহিদা বর্তমানে প্রচুর রয়েছে। বলতে গেলে ওই দেশে একজন সিকিউরিটি গার্ডের গুরুত্ব খুবই অপরিসীম। তাই এ কাজের জন্য অন্যান্য কাজের থেকে কিছুটা বেতন বেশি প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শ্রমিক এবং ক্লিনারের বেতন থেকে বেশি বেতন নির্ধারণ করা হয়।

যেমন ন্যূনতম ২০০০ রিয়াল অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়। এবং সর্বোচ্চ কাতার সিকিউরিটি গার্ডের বেতন নির্ধারণ করা হয় ২৫০০ রিয়াল থেকে ৩০০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশী টাকায় ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা বেতন নির্ধারিত হয়।

কাতার কোম্পানি ভিসা কবে খুলবে ২০২৪

কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর পর সাময়িকের জন্য কাতারের সকল ধরনের ভিসা বন্ধ ছিল। কিন্তু কাতার সরকার ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির পর থেকে থেকেই সকল ধরনের ভিসা চালু করেছে। এমনকি বাংলাদেশের সাথে কর্মী নিয়োগের চুক্তি হয়েছে। মোট কথা কাতার কোম্পানির ভিসা বর্তমানে চালু রয়েছে।

শেষ কথা

আশা করতেছি ইতিমধ্যে এই পোস্ট থেকে কাতার কোম্পানি ভিসা বেতন কত বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। পূর্বের তুলনায় কাতারের বেতন কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবং কাতারে প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। তাই আপনি যদি একজন দক্ষ ব্যক্তি হয়ে থাকেন কোন ভিসার উপর। তাহলে অবশ্যই কাতারে পৌঁছে যান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top